বাজারে মাছ-মাংসের দাম বেশি। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের বড় একটা অংশের ভরসা ডিম। সেই ডিমের দামও হু হু করে বাড়ছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। ফলে ডিম খেতেও তাদের ভাবতে হচ্ছে। কেননা বাড়তি দামের যোগান দিতে সংসারের অন্যান্য খাতে টান পড়ছে।
ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় যোগান কমে যাওয়ায় ডিমের দাম বেড়েছে। গরমের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা মতো ডিম আসছে না বাজারে।
খামারিরা বলছেন, ডিমের দাম নিয়ে তেজগাঁও আড়ত মালিকদের সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকে সব সময়। কিছুদিন আগে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়। তখন ডিম হিমাগারে মজুত হয়েছে। এখন দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করা হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দুই সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা দরে ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে। এখন খুচরায় ৫৫ টাকা হালি ডিম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। ডিমের দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় হতাশা প্রকাশ করছেন ভোক্তারা।
নিম্ন আয়ের মানুষদের ভাষ্য, দাম বেশি হওয়ায় মাছ-মাংস বেশিরভাগ সময় ছেলে-মেয়েদের খাওয়ানো হয় না এখন। ঝোলভাত খাওয়ার জেদ করলে ডিম রান্না করে দিলে খুশি হয়। দাম বেড়ে যাওয়ায় সেটা কিনতেও কষ্ট হচ্ছে। এদিকে, বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। প্রায় তিন-চার সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে সংসার খরচের যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে ও সহনশীল অবস্থায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে