ঢালাও দরপতনে আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ মে ২০২৪

দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিকভাবে দরপতনে প্রতিদিন লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। লোকসান কাটিয়ে ওঠার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। ফলে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর আতঙ্ক বাড়ছে।

এদিকে পুরোটাই লোকসান এড়াতে অনেকেই দিনের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় একদিকে দেখা যাচ্ছে ক্রেতা সংকট, অন্যদিকে সূচকের পতনের পাশাপাশি কমে আসছে লেনদেনের গতি।

সবশেষ রোববারও (১৯ মে) দিনের সর্বনিম্ন দামে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি বাড়িয়ে দেয়। এতে ক্রেতা সংকটে পড়ে প্রায় দুই শো’র মতো প্রতিষ্ঠান। ফলে শেয়ার ইউনিটের দাম যেমন কমছে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের, তেমন-ই সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। আর কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৮৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ইউনিটের দাম কমেছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক দেড় শতাংশের ওপরে আর লেনদেন পাঁচশ কোটি টাকার নিচে কমে এসেছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিস্থিতিও প্রায় একই রকমের দেখা গেছে। সেখানে সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা ছয় কার্যদিবস পতন দিয়ে শেষ করেছে শেয়ারবাজার

বাজারের এমন পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহে ডিএসই বাজার মূলধন হাজার ২০২ কোটি টাকা প্রধান মূল্যসূচক ১৪৩ পয়েন্ট কমে  গেছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২টির, বিপরীতে কমেছে ৩৪৭টির আর  অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।

 

আগের দিনের তুলনায় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স ৮৬ পয়েন্ট কমে হাজার ৪৩১ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে হাজার ১৯১ পয়েন্টে আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক  ২৫ পয়েন্ট কমে হাজার ৯৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দিনভর বাজারটিতে ৪০৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৭৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে  ২৬৭ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেন কমেছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ২৬৯ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে  দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ১৮৬টির এবং  অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির। লেনদেন হয় কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে এর পরিমাণ ছিল ৫৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

শেয়ারবাজার সংশ্লষ্ট অনেকেই মনে করছেন, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স, রিজার্ভ এবং দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা শতাংশ বেঁধে দেওয়া নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে  বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। সৃষ্টি হয়েছে বাজারের ওপর আস্থাহীনতা। ফল যাওয়া হওয়ার তাই হচ্ছে-টানা দরপতন হচ্ছে। আতঙ্কে  বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। চাপ না কমলে পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন বলেও জানান তারা।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর