হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরপরই তাদের উদ্ধারে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল। কিন্ত ‘ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও’ সেই সহায়তা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর বার্তাসংস্থা এএফপি।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এ শোক ও সমবেদনা প্রকাশকে বৈশিষ্ট্যসূচক মানদণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, রাইসি এমন একজন লোক ছিলেন যার হাতে প্রচুর রক্তের দাগ ছিল। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো সাধারণভাবে প্রাণহানির জন্য অনুতপ্ত এবং সরকারিভাবে শোক প্রকাশ করেছি আমরা।
ওদিকে রয়টার্স বলছে, ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ওয়াশিংটনের সাথে তেহরানের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরান সরকার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সাহায্য চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম- সহায়তা করতে ইচ্ছুক আমরা। আসলে এ পরিস্থিতিতে যে কোনো সরকারের ক্ষেত্রেই করব আমরা। তবে শেষ পর্যন্ত মূলত লজিস্টিক্যাল কিছু কারণে ইরানকে সেই সহায়তা প্রদান করতে পারিনি আমরা।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে