স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত, স্বামী প্যারালাইজড: দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
২১ মে ২০২৪

আনোয়ার ফাতেমার দাম্পত্য জীবনের বয়স প্রায় ২৮ বছর। রোগ-শোক থাকলেও ভালোই সময় পার হচ্ছিলো দম্পতির। কিন্তু ২০২১ সালে ক্যান্সার ধরা পড়ে ফাতেমার।

স্ত্রীকে সুস্থভাবে দেখতে আনোয়ার হোসেন নিজের চার বিঘা জমিসহ বাড়ির ভিটের অর্ধেক অংশটুকু বিক্রি করে দেন। সেই টাকায় চলছিল চিকিৎসা। এরই মধ্যে  হৃদরোগে আক্রান্ত হন আনোয়ার হোসেন। এর পর থেকে প্যারালাইজড হয়ে পড়ে আছেন।

এ অবস্থায় শিশু দুই সন্তানের পাশাপাশি দেনা পরিশোধ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এ দম্পতি। সংসার খরচ, স্বামী-স্ত্রীর চিকিৎসা ও সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন, প্রতিদিনই দেখছেন চোখে শর্ষে ফুল। আনোয়ার ও ফাতেমা দম্পতির বাড়ি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের এক যুগেও সন্তানের মুখ দেখেনি এ দম্পতি। এ সময়ে একের পর এক  রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ফাতেমা।  ২০১৬ সালে প্রথম বারের মতো সন্তানের মুখ দেখেন তারা তার আগের বছর ব্রেস্ট টিউমারে আক্রান্ত হন ফাতেমার। টিউমারের অপারেশননের  পর ২০১৬ সালে একটি পুত্র সন্তান এবং ২০১৮ সালে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন ফাতেমা।

স্ত্রীর চিকিৎসায় জমি-ভিটা বিক্রির পর আনোয়ার হোসেনের আর সম্পত্তি নেই। ছোট্ট একটি চায়ের দোকানের আয়ে চলতো ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া সংসারের খরচ। কিন্তু দুমাস আগে মানসিক চাপে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন আনোয়ার।

চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচের যোগান দিতে আনোয়ার হোসেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক পপি এনজিও থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। এখন সেই ঋণ গলার কাটা হয়েছে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে।

সংসারের এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের পড়াশোনা স্বামীর চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা চেয়েছেন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা।

ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম জানান, চিকিৎসার জন্য এককালীন আর্থিক সহযোগিতার সুযোগ আছে সরকারিভাবে। আবেদন পাওয়ামাত্র সহযোগিতা করা হবেও  জানান তিনি।

অসহায় এ দম্পতিকে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন তাদের  মোবাইল নম্বরে। তাদের মোবাইল নম্বর ০১৯১৫-২৪৬৪৪৯। এ নম্বরে বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্ট খোলা আছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/রাশেদুল ইসলাম/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর