সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায়  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময়  আহত হয়েছেন ৫ জন। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে  দু’দফায় এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ নেওয়াজ ডালিম জানান, বিজয়ী  চেয়ারম্যান প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিমের কর্মীরা পিরোজপুর গ্রামের রিপন হোসেনের বাড়িতে প্রথমে হামলা চালায়। পরে একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম,সাইফুল ইসলামসহ ৫ বাড়ি ভাংচুর করে তারা। বুধবার সকালে গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দ্বীপ,তেতুলিয়া গ্রামের সাইফুর রহমান, লিটন সরদার, প্রতাপ নগরের আব্দুস সামাদসহ কমপক্ষে ২০ জনের  বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া প্রতিপক্ষের হাতুড়ি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছেন চেউটিয়া গ্রামের আনিসুর রহমান ও তোয়ারডাঙ্গা গ্রামের ইমরান হোসেনসহ কমপক্ষে ৫ জন। এদের মধ্যে দুজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে বিজয়ী প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিমের জানান, এটা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নয়,  মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ। পরাজিত প্রার্থী ডালিমের কর্মী সমর্থকরা গুনাকরকাটি গ্রামের মোশাররফ হোসেন, গদাইপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ ও  ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ সানার বামন ডাঙ্গাস্থ বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় পিরোজপুর গ্রামের আব্দুর রহমান, আবুল কালাম আযাদ, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনায় আলাদা আলাদ মামলা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

বিডি২৪অনলাইন/কিশোর কুমার/সি/এমকে