ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, তমরদ্দি, চর ইশ্বর, সোনাদিয়া ও নিঝুমদ্বীপের নয়টি গ্রামসহ ১৪টি গ্রাম ৪-৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। আট হাজার হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ২ শতাধিক পুকুরের মাছ এবং দুই হাজারের বেশি গবাদিপশু।
দুই হাজারের বেশি গবাদিপশু ও ফসল নষ্ট হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শুভাশীস চাকমা। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক এ দূরোগে ৩৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী সাকিব ও কৃষ্ণ দাস জানান, চোখের সামনে নলচিরা ঘাটের ১০টি দোকান জোয়ারের স্রোতে ভেসে যায়। অনেকে মালামাল নিয়ে বেড়িবাঁধের উপরে রাখেন। তবে বেশিরভাগ দোকানের মালামালসহ পানিতে ভেসে গেছে।
জানা যায়, জোয়ারের পানি ও টানা বর্ষণে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাতিয়াতে। অনেকের ঘর ভেঙে গেছে। এক লাখ মানুষ পানিবন্দি।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীস চাকমা বলেন, হাতিয়াতে ঘূর্ণিঝড় রিমেলে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য এখনো তৈরি হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও স্থানীয় অনেকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিডি২৪অনলাইন/দেলোয়ার হোসেন/সি/এমকে