সংকটে শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ মে ২০২৪

দেশের শেয়ারবাজার এখন ক্রান্তিকাল চলছে। আস্থার সংকটের সঙ্গে দেশি-বিদেশি নানা সমস্যার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূদ পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে করের বোঝা নতুন করে না বাড়ানোর কথা বলছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চেয়ারম্যান হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানী ঢাকায় ঢাকা ক্লাবে প্রাক বাজেট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে এ বিষয়ে কথা বলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান। আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ না করাসহ বেশ কিছু দাবিও তুলে ধরেন তিনি।

আস্থার সংকট প্রসঙ্গে ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এটা সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালীন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ- সার্বিকভাবে বিশ্বব্যাপী  অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়ে। এসব প্রেক্ষাপটে পুঁজিবাজারকে ওইভাবে ঘুরে দাঁড় করানো যায়নি বা শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

 

ডিএসইর চেয়ারম্যান জানান,  সিকিউরিটিজ লেনদেনের মূল্য পরিশোধকালে .০৫ শতাংশ হারে কর সংগ্রহ করা হয়। হার প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বেশি। তাই আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর কর্তনের হার হ্রাস করা দরকার। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি  বিবেচনায় ধরনের করের হার .০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে .০১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি।

নিজের প্রস্তাবনায় ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারের লেনদেনের মূল্যের ওপর টিডিএসের হার .০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে .০২০ শতাংশ করা দরকার। উৎসে লভ্যাংশ আয়ের ওপর কর সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি লভ্যাংশপ্রাপ্তির প্রথম পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দিতে হবে। লভ্যাংশ আয়ের ওপর উৎস করকে, সঞ্চয় পত্রের মুনাফার ওপর উৎসে কর্তন করা করের ন্যায় চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া দরকার। এছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে -তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হারে বিদ্যামান . শতাংশ ব্যবধান বাড়িয়ে ১০ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ করতে হবে। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে মূলধনি মুনাফার ওপর নতুন করে কর আরোপ না করারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

শেয়ারবাজারের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ইনসেনটিভ না দিয়ে নতুন করের বোঝা চাপিয়ে বাজারের ওপর একটি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না ডিএসই চেয়ারম্যান। বলেন, বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে তখন সরকার বা এনবিআর আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে।

 

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর