নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্র আগ পুরুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে হামগুড়ি দিয়ে ভোট দিতে এসেছিলেন প্রতিবন্ধী সোহেল রানা (৩০)। এ নির্বাচনে যেখানে বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে, সেখানে হামাগুড়ি দিয়ে ভোট দিতে আসাটা সোহেলের নাগরিক দায়িত্বশীলতা ফুটিয়ে তুলেছে।
বুধবার (২৯ মে) গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। ৭২টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮ টা থেকে বিতিহীনভাবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ১ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৪ জন ভোটার অধ্যূষিত এ উপজেলায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।
বুধবার সারাদিনই ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়েছে। সেই গরম উপেক্ষা করে ভর দুপুরে এসেছিলেন ভোটকেন্দ্রে। তিনি শ্যামপুর গ্রামের মুনছের আলীর ছেলে।
সোহেল রানা বলেন, ভোট তার কাছে একটা নাগরিক দায়িত্ব। ভোট দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার মতে, সব নাগরিকের উচিৎ ভোট উৎসবে অংশ নিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করা।
আগ পুরুলিয়া কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার হাসিবুল হাসান মিলন রহমান বলেন, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৮শ জন। প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও দুই হাত এবং হাঁটুতে ভর করে এসে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন সোহেল রানা। সোহেল রানাকে ভোট দিতে আসতে দেখে অন্য ভোটাররাও ভোট দিতে উৎসাহী হবেন বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা হারুনর রশীদ বলেন, সোহেল তার প্রতিবেশি। একটা হুইল চেয়ার হলে তার দৈনন্দিন জীবনের অন্য সব কাজ ঠিকমতো করতে পারবেন তিনি।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব আলী বলেন, হাঁটুতে ভর করে সোহেলের ভোট দিতে আসার ব্যপারটি অবাক করার মতো। সোহেলকে সরকারি সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন তিনি।
বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে