সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ডিমের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ মে ২০২৪

চার সপ্তাহের ব্যবধানে হালিতে ডিমের দাম বেড়েছে ১৬ টাকা। খুচরা বাজারে এখন প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৬০ টাকা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গেল এক মাসে রাজধানী ঢাকার বাজারে  ২৩ শতাংশ বেড়েছে ডিমের দাম। ডিমের করপোরেট ব্যবসায়ী আড়তদারদের একটি চক্রের কারসাজিতে ডিমের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রান্তিক খামারিরা। এ চক্রের সিন্ডিকেটের কারণে কেবল ভোক্তারাই নয়, বেকায়দায় আছেন প্রান্তিক খামারিরাও। কারণ তারাই ডিমের বাজার পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করছে।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, দুই বছর ধরে জুলাই-আগস্ট সময়ে এসে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। দুই বছর আগে সময়ে ডিমের ডজন প্রথমবারের মতো ১৫০ টাকা উঠেছিল, গত বছর হয়েছিল ১৫৫ টাকা। এবার তার আগেই ডিমের দাম ১৬০ টাকা  ছুঁয়েছে।

জানা গেছে, ক্ষুদ্র খামারিদের ডিম উৎপাদনের সময় করপোরেট প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক চক্র দাম কমিয়ে রাখে। তখন প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদনে টিকে থাকতে পারেন না। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদন কমিয়ে দিলে চক্রটি তাদরে ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দেয়। করপোরেট কোম্পানি থেকে আড়তে এবং সেখান থেকে খামারি ব্যবসায়ীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে ফেসবুকে পোষ্টের মাধ্যমে ডিমের দাম বাস্তবায়ন করা হয়। সারাদেশেই দামে ডিমের বেচাকেনা চলে। ইচ্ছেমতো  দাম কমিয়ে কোল্ড স্টোরেজে মজুত করা হয়, পরবর্তীতে মজুত ডিম বাড়তি দামে বাজারে ছাড়া হয়। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ভোক্তার পকেট ফাঁকার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা।

আড়তদার ও পাইকারি ডিম বিক্রেতারা বলছেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে ডিমের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। অতি গরমে অনেকের খামারে মুরগি মারাও গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।

 

 এদিকে পরিসংখ্যান বলছে,  গত ১০ অর্থবছরে ডিমের উৎপাদন  দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।  ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ডিমের উৎপাদন ছিল হাজার ১৭ কোটি। সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এখন হাজার ৩৩৮ কোটি। কিন্তু তারপরও চড়া দামে ডিম কিনে খেতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর