পড়ালেখার পাশাপাশি বাবা-মায়ের সঙ্গে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন ইয়াকুব আলী। ছয়-ভাই বোনের মধ্যে তৃতীয় ইয়াকুব এভাবেই লেখাপড়া চালিয়ে পরীক্ষা দিয়ে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ ফলাফলে ইয়াকুব নিজে, তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার সবাই খুশি। কিন্তু নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ইয়াকুব ও তার পরিবার।
ভবিষ্যতে তার ভর্তিসহ পড়াশোনার খরচ কিভাবে যোগার হবে, সেটা নিয়ে ভাবছে ইয়াকুব, চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার মা-বাবার কপালে। ইয়াকুব আলী নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর খাটুরিয়ার ভূমিহীন দিনমুজুর হায়দার আলীর ছেলে। খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে।
ইয়াকুব আলী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে বাবা-মায়ের সাথে দিনমজুরের কাজ করছি। আমার স্বপ্ন একজন প্রকৌশলী হওয়া। কিন্তু পরিবারের অস্বচ্ছলতায় লেখাপড়ার খরচ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি।
ইয়াকুবের বাবা হায়দার আলী বলেন, নিজস্ব বসতভিটে নেই আমাদের। অন্যের জমিতে বাড়ি করে আছি আমরা। কষ্ট করে ছেলেকে এ পর্যন্ত পড়িয়েছি। ছেলের পড়াশোনায় চরম আগ্রহ থাকলেও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে কলেজে পড়ানোর সামর্থ্য নেই আমাদের।
এলাকাবাসী জানান, ছোটবেলা থেকে বাবার-মায়ের সাথে দিনমজুরের কাজ করে পড়াশোনা করছে ইয়াকুব। নিজে থেকে অদম্য উৎসাহ নিয়ে সে এতোদিন পড়াশোনা চালিয়ে আসছে। আর্থিক সহযোগিতা পেলে মেধাবী এ ছেলে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন তারা।
খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আ.ফ.ম জাকারিয়া বলেন, অনেকের আর্থিক সহযোগিতায় এ পর্ন্ত পড়াশোনার খরচ চালিয়ে এসেছে ইয়াকুব। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে যেনো কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা যেনো বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে তাকে।
বিডি২৪অনলাইন/রাশিদুল ইসলাম/সি/এমকে