এক মাসের ব্যবধানে দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর বছরের ব্যবধানে একই সময়ের রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। কোরবানির ঈদ থাকা সামনে থাকায় মে মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে। এ বৃদ্ধির ধারা জুনেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা সবমিলিয়ে বর্তমানে প্রতি ডলারে ১২০ টাকার বেশি পাচ্ছেন। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করছে বলে মনে করছেন ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা ।
রেমিট্যান্স প্রবাহের বিষয়টি জানা গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তথ্য বলছে, মে মাসে দেশে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২২৫ কোটি ডলার। এপ্রিলে এসেছিল ২০৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে। আবার গত বছরের এ সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ৩৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে রেমিট্যান্স।
এদিকে গত মাসে সাত টাকা বাড়ানো হয়েছে ডলারের দাম। ডলারের বিনিময় মূল্য ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও অনেক ব্যাংকই রেমিট্যান্সের ডলার ১১৮ থেকে ১১৯ টাকা দরে কিনছে। এর সঙ্গে আছে সরকারি প্রণোদনা আড়াই শতাংশ। সবমিলিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডলার প্রতি ১২০ টাকার বেশি পাচ্ছেন এখন।
গত মে মাসে ডলারের বিনিময় দর নির্ধারণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করা হয়। এতে বৈধ পথে ডলারের ভালো দাম পাওয়ায় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীরা আরও বেশি উৎসাহিত হবেন বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
পেগ পদ্ধতির আওতায় ডলারের মধ্যবর্তী একটি দর নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে। এ দরের আশপাশে লেনদেন করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সে অনুযায়ী, ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ডলারের মধ্যবর্তী দর। এর আগে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর পর সাত টাকা বাড়ানো হয় ডলারের দাম।
এদিকে চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় দুই হাজার ১৩৭ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৯৪২ কোটি ডলার। সে হিসাবে আগের অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৯৫ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ শতাংশ।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে