গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মে মাসের শেষ দিক থেকে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রাজধানী ঢাকার মহাখালী কলেরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোনো ডায়রিয়া রোগী মারা না গেলেও প্রতিদিন ১-৩ জনের মতো মৃত অবস্থায় সেখানে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন বেশি আক্রান্ত হচ্ছে প্রাপ্ত বয়স্করা। এ অবস্থায় সবাইকে খাবার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সচেতন থাকতে হবে- এ পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (৪ জুন) মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইসিডিডিআর) ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর ভিড় দেখা গেছে। সেখানে কোনো বেড ফাঁকা নেই। পরিস্থিতি সামলা দিতে বাইরে তাঁবু টানিযে অতিরিক্ত বেড তৈরি করা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পরই রোগীদের আসতে দেখা গেছে।
আইসিডিডিআর’র হিসাবে, ২৮ মে আইসিডিডিআরে ৫১৫ জন রোগী এসেছিলেন। এরপর ২৯ মে ৬৫৩ জন ও ৩০ মে ৯৫১ জন চিকিৎসা নেন সেখানে। এরপর থেকে গড়ে দৈনিক ১ হাজার ২০০ এর অধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। গত ৩১ মে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন এক হাজার ২০৮, ১ জুন এক হাজার ৩৩০ জন, ২ জুন এক হাজার ২৭২ জন, ৩ জুন এক হাজার ২২১ জন ও ৪ জুন দুপুর ১টা পর্যন্ত ৫৬৪ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ৩০ মে থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এ ধারা আরও দেড় মাসের মতো থাকতে পারে। এখন গ্রীষ্মকালীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন প্রাপ্তবয়স্করা। প্রাপ্তবয়স্করা আক্রান্ত হওয়ায় সেটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। শিশুদের সঙ্গে মায়েরা বা স্বজনরা থাকেন। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের চিকিৎসা দেওয়া একটু সমস্যা বলেও জানান তারা।
চিকিৎসকরা আরও বলছেন, ডায়রিয়া থেকে নিরাপদে থাকতে চাইলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে স্ব স্ব সচেতনতা জরুরি। খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে হাত ধুয়ে খেতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার, বাইরের খোলা খাবার খাওয়া যাবে না। পাতলা পায়খানা হওয়া মাত্র স্যালাইন খাওয়া শুরু করতে হবে, সেই সঙ্গে দেরি না করে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে