ভারতে বেড়াতে গিয়ে শখের বশে চারা সংগ্রহ করেন আব্দুল জলিল। দেশে ফিরেই সেটা রোপন করেন গাড়ো পাহাড়ে থাকা নিজের জমিতে। এরপর চালিয়ে যেতে থাকেন পরিচর্যা, পরিশ্রমের ফল হিসেবে তার গাছে ধরছে আঙ্গুর। তার বাগানের আঙ্গুর খেতে যেমন মিষ্টি, তেমনি সুস্বাদু। স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় অধিক লাভের আশা করছেন এ উদ্যোক্তা। এদিকে তার আঙ্গুর বাগান দেখে অনেকেই আঙ্গুর বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন।
আব্দুল জলিল শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম মেঘাদলের বাসিন্দা। সম্প্রতি মেঘাদলে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল জলিলের বাগানে মাথার উপর বাঁশের মাচায় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোঁকায় থোঁকায় ঝুলছে আঙ্গুরের ছড়া। অনেকেই বাগানে এসে আঙ্গুর কিনে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ চারা সংগ্রহ করছেন।
আব্দুল জলিল জানান, ভারত থেকে দুই জাতের ১০টি আঙ্গুর ফলের চারা নিয়ে আসেন তিনি। এরপর আরো দুই ধাপে ৪০ জাতের ৮০টি চারা আনেন। নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে এসব চারা রোপণ করেন। এতে সব মিলিয়ে তার খরচ হয় এক লাখ ২০হাজার টাকা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চারা লাগানোর ১০ মাস পর বাগানে ফল আসা শুরু হয়। এখন থোঁকায় থোঁকায় আঙ্গুর ধরছে প্রায় সব গাছেই।
নিজেই আঙ্গুরের চারা উৎপাদন শুরু করেছেন আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, আমার কাছে চারা আছে, যদি কারো আগ্রহ থাকে তাকে দিতে পারবো। আঙ্গুর চাষ যে এ দেশে হয়, আমি নিজে তার প্রমাণ। নিজে নতুন করে বৃহৎ পরিসরে বাগান করার উদ্যোগ নিচ্ছেন বলেও জানান এ উদ্যোক্তা।
এদিকে এ ধরনের চাষে কৃষকদের সব ধরনের উৎসাহ ও সহযোগিতার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক জালাল উদ্দিন প্রথমবারের মতো শ্রীবরদী উপজেলায় আঙ্গুর চাষ শুরু করেছেন। অন্য কোনো কৃষি উদ্যোক্তা যদি আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হন, তাহলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হবে।
বিডি২৪অনলাইন/রাকিবুল আওয়াল পাপুল/সি/এমকে