জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলে প্রস্তাবিত ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির পক্ষে ১৪টি দেশ ভোট দিয়েছে। আমেরিকার দেওয়া যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি, নিহত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত এবং ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়ের শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে তিন ধাপের পরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর পাস হলো এ প্রস্তাব। সোমবার পাস হওয়া এ প্রস্তাবে ভোট দেয়নি রাশিয়া।
আমেরিকার তৈরি খসড়া প্রস্তাবে তিনটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রথম ধাপ জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতি সম্পর্কিত। দ্বিতীয় ধাপে ‘শত্রুতার স্থায়ীভাবে অবসান’ এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। আর তৃতীয় ধাপে যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ধ্বংস হওয়া গাজার জন্য বহু বছরের পুনর্গঠন পরিকল্পনার রয়েছে।
এদিকে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউএস অ্যাম্বাসেডর লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড নিরাপত্তা পরিষদের এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। গাজার পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর হিসেবে বর্ণনা করে ব্রিটেনের অ্যাম্বাসেডর বারবারা উডওয়ার্ড জানিয়েছেন, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ চলছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থায়ী শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। এটা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জনগণের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত মার্চে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এরপর থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে