বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ আর্সেনিক দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফের যৌথ জরিপ প্রতিবেদন মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস)’র বরাত দিয়ে জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী সংসদকে সঙ্গে এটাও জানান, আর্সেনিকের কবল থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে আর্সেনিক দূষণের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের হার ২০২৫ সালের মধ্যে ৫-৬ ভাগে নেমে আসবে।
জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান মন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আর্সেনিক থেকে সুরক্ষা দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সংসদকে জানান, বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে এসব প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ লাখ ৬৫ হাজারটি আর্সেনিকমুক্ত পানির উৎস স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে গভীর নলকূপ ছাড়াও পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং পুকুর খনন ও পুনঃখননসহ সৌরচালিত পন্ড স্যান্ড ফিল্টার ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী সংসদকে আরও জানান, সাধারণ মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের জন্য দেশব্যাপী তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি কমাতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭২ হাজার ৭১৬টি পানির উৎস স্থাপন, সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৩০টি পানির উৎস স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় জেলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৮৭৪টি পানির উৎস স্থাপন, পল্লী অঞ্চলে এ পর্যন্ত ৮৮ হাজার ২৩৫টি পানির উৎস স্থাপন, এবং অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫টি পানির উৎস স্থাপন করা হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে