বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তরুণ সমাজে উদ্বেগজনক হারে মাদকাসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও কেবলমাত্র ভৌগোলিক কারণে মাদকের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধ মাদক প্রবেশ করে এ দেশে।
জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে বুধবার (১২ জুন) মাদক সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরে বিষয়টি জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নটি করেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, দেশে বর্তমান সময়ের আলোচিত মাদক ইয়াবা মিয়ানমার থেকে আসে। আর ভারত থেকে অনুপ্রবেশ করে গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদকে জানান, সরকার মাদক নির্মূলে গত ১৫ বছরে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মাদকাসক্ত শনাক্তকরণে ডোপ টেস্ট প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে তরুণ সমাজ মাদক গ্রহণে নিরুৎসাহিত হবে। তাছাড়া মাদকদ্রব্য না গ্রহণের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। গত ১৬ বছরে ৮৩ হাজার ৪১৭টি মাদকবিরোধী সভা, সেমিনার ও ওয়ার্কশপ এবং ১৩৭টি স্থানে মাদকবিরোধী শর্ট ফিল্ম প্রদর্শন করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। দেশের বিভিন্ন কারাগারে কারাবন্দিদের নিয়ে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা করা হয়েছে ৯৭১টি। ৫৫ হাজার ৮৯৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী সভা হয়েছে। মাদক গ্রহণ বন্ধে ৫ হাজার ৮৩ জন শিক্ষককে মেন্টর হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী ৩১ হাজার ৮০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংসদকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ১৪ লাখ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময়ে সারা দেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে ১১ লাখ ১৩ হাজার ৪৭০টি।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে