ধামইরহাটে কামারশালায় এখন কেবল টুং টাং শব্দ

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
১৪ জুন ২০২৪

ক’দিন পরেই ঈদুল আযহা। কোরবানির পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস পযন্ত দরকার ছুরি, চাকু, দা-বটি। এসব দেশীয় অস্ত্র তৈরি আর শাণিত করতে তাই কামারশালায় ছুঁটছেন মানুষ। তাদের চাপ বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত অবধি বেজেই লোহায় লোহায় আঘাতের টং টাং শব্দ। নওগাঁর ধামইরহাটের বিভিন্ন কামারশালার বর্তমান পরিস্থিতি এমনই।

বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, ওজন আকার ভেদে পশুর চামড়া ছাড়ানোর ছুরি  ১০০-২০০ টাকা, দা ৫০০-৮০০ টাকা, বটি ৪০০-৮০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০-৮০০ টাকা চাপাতি ৮০০- ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ধামইরহাট পৌরসভার দক্ষিণ চকযদুর কামার বিমল কর্মকার বলেন, "আমার পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য বজায় রেখে আমি পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। কোরবানি ঈদ ছাড়া বাকি সময় অনেকটাই আমাদের অবসরে কাটে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পেশা চালিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বল্প অথবা বিনাসুদে সরকারি ঋণের অনুরোধ জানাচ্ছি।"

দা মেরামত করতে আসা একজন ক্রেতা, আল-আমিন বলেন, "লোহা, কয়লা অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ঈদের তুলনা ঈদে লোহার জিনিসের দাম তুলনামূলক বেশি। কারণে নতুন দা না বানিয়ে পুরাতন দা শানিয়ে নিতে আগ্রহ বেশি।"

 

বিডি২৪অনলাইন/গৌরব প্রসাদ সাহা/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর