ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে নাটোরের গুরুদাসপুরে কাঠের গুড়ি বা খাইটার বেচাকেনা বেড়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় সুযোগ বুঝে দাম হাকছেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের ভাষ্য, গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি হাড্ডি ও মাংস কাটার এ উপকরণের।
সরেজমিনে শুক্রবার (১৪ জুন) গুরুদাসপুর শহরের চাঁচকৈড় বাজারে দেখা যায়, রসুন হাট পুরাতন ব্রীজ, ছাতার মোড়, ফার্নিচার পট্টিসহ বিভিন্ন মোড় ও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে এ খাইটা। প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট-বড় নানা আকৃতির এ খাইটা কিনছেন পশু কোরবানিদাতারা।
খাইটা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, ১শ টাকা থেকে ৬শ টাকা দামের খাইটা রয়েছে তার কাছে। দাম বেশির কারণ হিসাবে জানান, অন্যান্য জিনিসের মতো কাঠের গাছের দামও বেড়েছে। তাছাড়া সব কাঠে খাইটা হয় না। তেঁতুল কাঠের খাইটা সব থেকে ভালো। এ কাঠের খাইটার চাহিদা-দামও দুটোই বেশি।
৫-৭ বছর ধরে কোরবানির ঈদের আগে খাইট্যার ব্যবসা করেন শহিদুল ইসলাম। এ তথ্য দিয়ে তিনি জানান, গত বছরও প্রায় ৩শ পিস খাইট্যা বিক্রি করেছিলেন। এবছরও একই ধরনের বিক্রি হবে বলে আশা তার।
শহরের আনন্দ নগর মহল্লার বাসিন্দা বদিউজ্জামান জানান, তিনি এ বছর কোরবানীর জন্য একটি ছাগল কিনেছেন। গোস্ত প্রক্রিয়াজাতের জন্য একটি মাঝারি আকৃতির খাইটা কিনতে এসেছেন। আগের বছরগুলোতে যেগুলো কেনা হয়, সেগুলো নষ্ট হয়ে যায় অযত্নে অবহেলায়। তাই নতুন করে একটা কিনেছেন। তিনি আরও জানান, দর কষাকষির পরে শেষে ২৫০ টাকায় একটি খাইটা কিনেছেন তিনি। গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম বেশি বলেই মন্তব্য করেন এ ক্রেতা।
বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে