কোরবানির ঈদের চাহিদা ঘিরে প্রায় সব ধরণের মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। মোটাদাগে দাম বেড়েছে বেশি ব্যবহৃত আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৭০ টাকা। এনিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন নিরুপায় সাধারণ ক্রেতারা।
ক্রেতারা দাম বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার মানসিকতাকে দুষছেন। বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও কেবল প্রয়োজনীতাকে পুঁজি করে বাড়তি লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এসব পণ্যের। মাংস রান্নায় প্রচুর পরিমাণে আদা, রসুন ও পেয়াজ ব্যবহার হয় বলেও জানান তারা।
অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। বেশি দামে কেনায় বাধ্য হয়ে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। এক্ষেত্রে তাদের করার কিছুই নেই।
ঢাকার বাজারের তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আদার দাম। ২৫০-৬০ টাকা কেজি দরের আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। ৭০ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। ২৪০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীদের হিসাবে, ২ সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি আদার দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এমনকি এ মাসের শুরুতেও দাম ছিলে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। তবে রসুনের দাম এলাকা ভেদে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এ মাসের শুরুতে রসুনের দাম কেজি প্রতি ২৫০-২৬০ টাকার মধ্যেই ছিল।
কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির সময় বিভিন্ন মসলার চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ আদা, পেঁয়াজ ও রসুনের।গড় হিসাবে এবার এ ৩ পণ্যের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তার হিসাবে, যে দামেই কেনা হোক না কেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা কেজিতে সাধারণত ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করেন। পচনশীল এসব পণ্যের পচন ও ওজন সংক্রান্ত ঘাটতি ধরেই বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়। প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা লাভ না করলে লোকসানে পড়তে হয়।
মসলা বিক্রেতাদের তথ্য বলছে, বেশি ব্যবহৃত মশলার মধ্যে বর্তমানে প্রতি কেজি জিরা ৭০০ টাকা, ধনিয়া ৮০০ টাকা আর এলাচ ৪ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে