প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে গুরুদাসপুরে

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
১৫ জুন ২০২৪

 

এবার ঈদুল আযহা ঘিরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় সব মিলে প্রায় হাজার কোটি টাকার কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে বলে আশা করছে উপজেলা প্রানিসম্পদ বিভাগ। তাদের হিসাবে, ঈদুল আযহা ঘিরে উপজেলায় মোট ৯৭ হাজার ৮৮৯ পশু কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। এসব পশুর বাজার দর ধরা হয়েছে প্রায় হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।

এদিকে ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় জমজমাট বেচাকেনা চলছে উপজেলার পশুর হাটে। কোরবানিদাতাদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যাপারীদের চাপ বাড়ছে হাটগুলোতে। স্থায়ী হাট ছাড়াও বসেছে অস্থায়ী হাট।

উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গুরুদাসপুরে বছর হাজার ৬৬৯ জন খামারী তাদের খামারে ৩৪ হাজার ২০৮টি গরু, ৮৫৪ টি মহিষ, ৫৬ হাজার ৭৪৬টি ছাগল, ভেড়া হাজার ৫২টি, অন্যান্য (গাড়ল, দুম্বা ইত্যাদি) ২৯ টি পশু মোটা-তাজা করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন।  উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৮ হাজার ৫২০টি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাকি ৪৯ হাজার ৩৬৯ টি  উদ্বৃত্ত পশু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

শনিবার (১৫ জুন) সরেজমিনে উপজেলার চাঁচকৈড় হাটে দেখা গেছে, পশুর প্রচুর আমদানি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরগরম চলছে হাটে। এ হাটে লাখ ৫৬ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় বিক্রি করেন গুরুদাসপুর শহরের আনন্দ নগর মহল্লার খাজা উল্লাহ। তিনি জানান, গরু পালনের খরচের হিসাবে দাম কম। তার মতো একই মহল্লার আবু সাঈদ, রিপন মন্ডল, ফেরদৌস আলী, মোস্তফা জানান- খড়, ভুষি,দানাদার খাদ্য, ওষুধ, শ্রমিকসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বাড়লেও আনুপাতিক হারে পশুর দাম বাড়েনি। একই হাট থেকে লাখ ১৭ হাজার টাকায় একটি মাঝারী আকৃতির গরু কিনেছেন আবু সুফিয়ান। দামে গরু কিনতে পেরে খুশি তিনিও। তিনি জানান,দাম স্বাভাবিক রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার খামারীরা জেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক কুরবানির পশু মোটা-তাজাকরণ শেষে বিক্রি শুরু করেছেন। বছরজুড়ে তাদের বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক, প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্যারাভেট স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বক্ষণিক খামারিদের পরামর্শ সেবা দিয়েছেন।

 

বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর