সারা দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপন হচ্ছে আজ। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, জিলহ্বজ মাসের ১০ তারিখে উদযাপন হয় পবিত্র ঈদুল আজহা। এদিনে মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের নামাজ জামায়াতে আদায় শেষে পশু কোরবানি করেন মুসলমানরা।
এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বার্তায় দেশবাসীসহ বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। সুস্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপনে সারাদেশে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এবার রাজধানী ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত হবে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ৫টি ঈদের জামাত হবে। এর বাইরে বিভাগীয় ও জেলার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে নির্ধারিত ঈদগাহের পাশাপাশি মসজিদেও ঈদের নামাজ জামাতে আদায় করবেন মুসল্লীরা। এছাড়া কিশোরগঞ্জে শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে ১৯৭তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রূহের মাগফেরাত কামনায় কবর জিয়ারত করবেন।
এদিকে ঈদ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমে ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
কোরবানির ইতিহাস বলছে, প্রায় চার হাজার বছর আগে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর নিজের ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.)’কে কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়। এরপর থেকেই মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করেন। তবে ঈদুল আজহার পরের দুই দিনেও পশু কোরবানি করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য পশু কোরবানি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসলামে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ঈদুল আজহার দিনে পশু কোরবানি করা দিনের উত্তম ইবাদত।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে