তৈরি পণ্য বিদেশে পাঠাতে খালি কনটেইনার পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়তি খরচের পাশাপাশি পোশাকের ক্রয় আদেশ হারানোর আশঙ্কা করছেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা। লোহিত সাগরে অস্থিরতার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটা না কাটলে দীর্ঘমেয়াদে দেশের রফতানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সহজ পথ হচ্ছে আরব সাগর ও ভূমধ্যসাগরের সংযোগকারী লোহিত সাগর এবং সুয়েজ খাল। কিন্তু লোহিত সাগরে হুতিদের সৃষ্ট সংকটের কারণে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পরিবহনে এক ট্রিপে প্রায় ১১ দিনের মতো বেশি সময় লাগছে। যাওয়া-আসায় লাগছে প্রায় ২২ দিনের মতো বেশি সময়। এর কারণ লোহিত সাগরে হুতিদের হামলার আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ঘুরপথে পণ্য পরিবহন করছে বিশ্ব কোম্পানিগুলো। যাতায়াতের এ বিলম্বের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোর মতো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে কনটেইনারের সংকট তৈরি হচ্ছে। আর এতে দেশের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, এ দেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ৭৫ শতাংশ ৪০ ফুট আকৃতির কনটেইনারে এবং বাকি ২৫ শতাংশ ২০ ফুট আকৃতির কনটেইনারে হয়ে থাকে। আর তৈরি পোশাক রপ্তানির বেশিরভাগই হয় ৪০ ফুট কনটেইনারে। কিন্তু এখন শিপিং লাইনগুলো থেকে ২০ ফুটের কনটেইনার পাওয়া গেলেও ৪০ ফুটের কনটেইনার পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের অনেকেই জানিয়েছেন, রফতানির জন্য কাঙ্ক্ষিত কনটেইনার পাচ্ছেন না তারা।
জানা গেছে, কনটেইনারের অভাবে রফতানিপণ্য জাহাজীকরণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অফডক ও কারখানায় বাড়ছে রপ্তানি পণ্যের জট। এতে শুধু যে খরচ বাড়ছে, সেটাই নয়, ঠিক মতো রপ্তানি করতে না পারায় তৈরি হচ্ছে ক্রয়াদেশ হারানোর শঙ্কা।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে