বর্তমানে সরকারের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রধান প্রতিবন্ধক হচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণে যেমন প্রকল্পগুলো যথা সময়ে শেষ হওয়ায় খরচ ও জনগণের হয়রানি বাড়ে, তেমনই সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এছাড়া আমলাদের একটি অংশও দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছে। কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাই সরকারি চাকুরেদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি। এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয়বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, অল্প সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ আমলাদের জন্য সারা আমলাতন্ত্র বদনামের ভাগীদার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার বন্ধের নির্দেশনা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দুর্নীতির পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়েও সংসদে কথা বলেন এ কে আব্দুল মোমেন। জানান, সাধারণ নাগরিকের মধ্যে বড় প্রশ্ন এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। তারা এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে। তারা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন।
দেশে অধিকতর কর্মসংস্থান, রাজস্ব বৃদ্ধি ও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও প্রশাসনের হয়রানি নিয়েও জনগণের নানা প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান এ সংসদ সদস্য। বলেন, দেশে যথেষ্ট কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মক্ষম লোক বৈধ ও অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা সৃষ্টি সাধারণত প্রাইভেট সেক্টর করে থাকে। সেজন্য তাদের যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত বলেও জানান সাবেক এ মন্ত্রী।
ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ নিলেও সেটার নেতিবাচক প্রভাব বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উপর পড়বে। এ প্রসঙ্গে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে। এতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে