খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে আরও এক দফা ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে মেয়াদি ঋণের সুদ পরিশোধ ও বাণিজ্যিক ঋণের কিস্তি পরিশোধে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে ঋণের মেয়াদ ও ঋণ পরিশোধের সময়সীমা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মোকাবেলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ মার্চ) এই সংকান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, যেসব চলমান ঋণের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে এবং প্রচলিত নীতিমালার আওতায় নবায়ন করা হয়নি। সেসব ঋণের বিপরীতে অনাদায়ী সুদ চলতি মার্চ থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ছয়টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। একই সঙ্গে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আরোপিত সুদ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করলে ওইসব ঋণকে খেলাপি করা যাবে না। তলবি ঋণের ক্ষেত্রে চলতি মার্চ থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আটটি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। নিয়মিতভাবে কিস্তি পরিশোধিত হলে এগুলোকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ বেড়েছে ২১ মাস।
নিয়মিতভাবে কিস্তি পরিশোধিত না হলে যে ত্রৈমাসিকে কিস্তি পরিশোধিত হবে না, ওই সময় থেকেই আলোচ্য সুবিধা বাতিল বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে ওই ঋণকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে। চলমান, তলবি ও মেয়াদি ঋণের বিপরীতে চলতি মার্চ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সেগুলোকে খেলাপি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ বেড়েছে তিন মাস।
করোনার প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিতরণ করা ঋণ এ নীতিমালার আওতায় পড়বে না। সেগুলো নিজ নিজ প্রণোদনা প্যাকেজের শর্ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে। এর আগে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় ঋণ পরিশোধের সীমা আরও বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে তারা যেসব প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বাস্তবায়িত হয়নি, সেগুলোর মেয়াদও বাড়ানোর দাবি করেছিল।
এমকে