পঞ্চগড়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবনে নাভিশ্বাস ওঠেছে। প্রচন্ড দাবদাহে সাধারণ মানুষ হাসফাঁস করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শিশু ও বয়স্করা।
বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (নেসকো) সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে তাদের। এসব গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২৫ মেগাওয়াট। বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে অর্ধেক, ১২ মেগাওয়াট।
এদিকে জেলায় আরেক বিতরণ কোম্পানি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২ লাখ ৬৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা দৈনিক ৫১ মেগাওয়াট। বিপরীতে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, প্রচন্ড গরমের মধ্যে ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ যায়। শহর এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পালা করে এলাকা ভিত্তিক দফায় দফায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়া হয়। গ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ। গ্রাম এলাকায় কখন বিদ্যুৎ আসে, সেই হিসাব রাখছেন এখন ভুক্তভোগীরা। সেখানে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। যদিও বা আসে কয়েক মিনিট পরেই চলে যায়।
হাফিজাবাদ এলাকার এইচএসসি পরীক্ষার্থী শাহিনুর জানান,৩০ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু। এখন প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ১২ টা পর্যন্ত কতবার যে বিদ্যুৎ যায়, তার হিসাব নেই। এতে প্রচুর সমস্যায় পড়তে হয়।
হেলিপোর্ট বাজারের হোসেন আলী জানান, সন্ধ্যায় যখন বেচাকেনার সময়, ঠিক তখনি বিদ্যুৎ নেই। একবার গেলে একঘন্টা। ঠিকমতো বেচাকেনা হয় না।
তেঁতুলিয়ার সুমন ও ফরিদ জানান,বিদ্যুৎ এখন যায় না, আসে মাঝে মাঝে। প্রচন্ড দাবদাহে বাসায় থাকা যায় না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ।
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পঞ্চগড় জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.গোলাম রাব্বানী জানান, পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু ৩০ মেগাওয়াট সরবরাহ হচ্ছে। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চাহিদা বেড়ে যায় বিদ্যুতের। ফলে সাম্প্রতিক লোডশেডিং বেড়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পঞ্চগড় নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) সত্যজিৎ দেব শর্মা জানান, তাদের বিদ্যুতের চাহিদা ২৫ মেগাওয়াট। বিপরীতে পাচ্ছেন ১২ মেগাওয়াট। ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে। ফলে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে