চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) সংস্থাটি আদায় করতে পেরেছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাকি প্রায় ৮৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে চলতি জুন মাসে। এক মাসে এই টাকা আদায় করা অবাস্তব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এ ১১ মাসে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা কম। যদিও লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ অর্জন করেছে এনবিআর। এ অর্জন গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
সর্বশেষ মে মাসে এনবিআর রাজস্ব আদায় করেছে ৩২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। সে অনুপাতে হিসাব করলে চলতি মাসে এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না। আর এটা না হলে আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রস্তাবিত বাজেটে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১১ মাসের রাজস্ব আহরণের এগিয়ে আছে আয়কর খাত। বিপরীতে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ও স্থানীয় পর্যায়ে মূসক আহরণ পিছিয়ে আছে। এ সমযে আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা, এ টাকা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা বেশি। লক্ষ্যমাত্রা ৯২ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। আগের বছরের সঙ্গে তুলনা করলে বেশি আদায় হয়েছে ১৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
এ সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। আদায় হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে এবার।
ওদিকে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৯১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩৫৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবার আদায় হয়েছে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে