২৩ বছর পর নাতিসহ পুত্রবধূর সন্ধান পেলেন নকলার মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস

শেরপুর প্রতিনিধি
২৯ জুন ২০২৪

৩৫ বছর আগে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর মেজো ছেলে আশরাফ। মাঝে একবার বাড়ি ফিরে বাবাকে বিয়ের কথা জানায়। এরপর ফের নিরুদ্দেশ হয়। তখন থেকে টানা ২৩ বছর পর ছেলের পরিবারের খোঁজ পেয়েছেন ইদ্রিস আলী। কাছে পেয়েছেন নাতিসহ পুত্রবধূকে। কিন্তু চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলেছেন তার ছেলে আশরাফকে।

ইদ্রিস আলীর বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ৭নং টালকি ইউনিয়নের বাজেদ বাড়ি গ্রামে। নকলার সাংবাদিক রেজাউল হাসান সাফিতের প্রচেষ্টায় এবং নকলা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় এ দুই পরিবারের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বেশ খুশি ইদ্রিস আলী।

সম্প্রতি নাতি ও পুত্রবধূ সরাসরি চলে আসেন ইদ্রিস আলীর বাড়িতে। এ সময়ে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।  বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বলেন, আমার প্রথম স্ত্রীর ঘরে ছেলে-মেয়ে জন। সুখের সংসার ছিল। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করি। তবে  দ্বিতীয় স্ত্রীর কোন ছেলে-মেয়ে হয়নি।

তিনি আরও জানান, ৩৫ বছর আগে মেজো ছেলে আলী আশরাফ ও বড় ছেলের সাথে পারিবারিক বিষযে ঝগড়া হয়। এপর বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে  চলে যায় সে। হঠাৎ একদিন সে বাড়িতে ফিরে আসে। তখন সে জানিয়েছিল, কুমিল্লায় থাকে। সেখানেই বিয়ে করেছে। এরপর বাড়ি থেকে হঠাৎ কিছু না বলেই চলে যায়। পরে আর তার সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারিনি।

আলী আশরাফের পরিবার জানান,  কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বিয়ের পর সেখানে ঘর জামাই থাকতেন আলী আশরাফ। রিকশা চালাতেন তিনি। কিছুদিন সংসার করার পর ছয় মাসের বাচ্চা রেখে মারা যান। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। এরপর আর বিয়ে করেননি আশরাফের স্ত্রী জেসমিন আক্তার। বর্তমানে তাদের সন্তানের বয়স ২২ বছর। সেই ছেলেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার দাদা মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর ঠিকানা যোগাড় করে ও নকলার সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

বিডি২৪অনলাইন/রেজাউল হাসান/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর