করোনার প্রকোপ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা- নানা কারণে বৈশ্বিক অর্থনেতিক মন্দার ধাক্কা থেকে ধীরে ধীরে প্রায় দেশই উত্তরণে সক্ষম হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো প্রতিদিন নিম্নগামী। উত্তরণ তো দূরের কথা অধঃপতন ঠেকানোই বড় চ্যালেঞ্জ।
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
জিএম কাদের বলেন, কোনো দেশে কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের রিজার্ভ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নেমে এসেছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয় মোট আমদানি ব্যয়ের সমান বা বেশি না হওয়া পযন্ত রিজার্ভের ক্রমাবনতি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আইএমএফের ঋণ ছাড়সহ অন্যান্য বিদেশি সাহায্য বা অন্যান্য ঋণের অর্থে হঠাৎ রিজার্ভ বৃদ্ধি হতে পারে বলে জানান জিএম কাদের। বলেন, কিন্তু রপ্তানি ও প্রবাসী আয় আমদানি ব্যয়ের চেয়ে বেশি না থাকা পযন্ত সেই রিজার্ভ কমতে থাকবে। বর্তমানে আমদানি ব্যয় যথেষ্ট পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ করার পরেও রিজার্ভ ধরে রাখা যাচ্ছে না।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আমদানি ব্যয় একটা পর্যায়ের নিচে কখনই নামানো সম্ভব হবে না। দেশে আমদানি চাহিদার একটি নিম্নতম স্তর আছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হ্রাস এবং আমদানি হ্রাস পেলে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন এবং মূল্যস্ফীতি হয়। তাই আমদানি ব্যয় সংকোচনের ফলে সর্বনিম্ন স্তরে নিয়ে আসার মাধ্যমে রিজার্ভের স্থিতিশীল অবস্থা ধরে রাখা না গেলে সার্বিক অর্থনীতিতে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা দেবে।
বিডি২৪অনলাইন/আরডি/এমকে