মূল্যস্ফীতির চাপে নাভিশ্বাস উঠছে দেশের সাধারণ মানুষের। এ অবস্থায় আশার কথা শুনিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকটসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের কারণে মূল্যস্ফীতিসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এবারের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া নীতি-কৌশলের ফলে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৭৫ শতাংশে এবং মধ্য মেয়াদে ৭.২৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলেও এ সময় আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নীতি সুদহার (রেপো) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে ৮.৫ শতাংশে উন্নীত, ব্যাংক সুদের হার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। এছাড়া রপ্তানি উৎসাহিতকরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য ডলারের বিনিময় হারের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে।
মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। উদাহরণ টেনে বলেন, যেমন বাজেট ঘাটতি হ্রাসকরণ, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণ এবং বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছ্রসাধনের উদ্যোগ। আর এসব নীতি-কৌশলের ফলে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে এ পন্থা অবলম্বন করা হলে প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। জানান, কিন্তু ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি। এমতাবস্থায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখা- এ দুটি আপাত বিপরীতমুখী লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই এবারের বাজেট প্রণয়ন করো হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে