রিজার্ভ থেকে এক হাজার কোটির বেশি ডলার বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ জুলাই ২০২৪

অনেকদিন হচ্ছে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে ডলার বিক্রি করে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ কমছে। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে পর্যন্ত রিজার্ভ কমেছে ২৪ বিলিয়ন ডলার। মূলত আমদানি খরচ মেটাতে হিমশিম খাওয়ায় ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে মোট ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ২৭৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহের বিপরীতে বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে সমপরিমাণ টাকা

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথম বছরে দশমিক ৬২ বিলিয়ন ও পরের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়।

২০২১ সালের আগস্ট মাসে দেশের রিজার্ভ উঠেছিল সর্বোচ্চ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বা ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বর্তমানে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ১৬ দশমিক শূন্য বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে (বিপিএম৬) গেল ৩০ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০২১-২২ অর্থবছরে বিপিএম৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে আমদানির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এতে আমদানি খরচ কমলেও থেমে নেই  ডলার বিক্রি। বর্তমানে দেশের নিট রিজার্ভ (১৬ বিলিয়ন ডলার) আইএমএফের  বেঁধে দেওয়া জুনের জন্য নির্ধারিত  লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি।

আইএমএফের হিসাবে পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে নিট রিজার্ভ গণনা করা হয়। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দেনা বাদ দিলে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানা যায়।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে গেল অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ- এ কয়েক মাসে ৪৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে। এটা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। ঋণপত্র থেকে আমদানি খরচ পরিশোধের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পায়।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর