গেল এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ইসরায়েল হামলা চালায় ইরান। এ হামলায় সাফল্য পায়ও দেশটি। এখন নতুন করে হামলা চালানোর সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে তেহরান।
গাজা উপত্যকায় স্বজন হারানোদের অনুষ্ঠানে এ সুযোগের অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী অ্যারোস্পেস ফোর্সের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ। ইরানের শীর্ষ এ কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ব্যক্তিরা গাজা থেকে এসেছেন কিনা, সেটা অবশ্য নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
এর আগে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, ধ্বংসের হুমকিদাতাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়াটা তাদের জন্য প্রযোজ্য। লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালানো বন্ধ ও সীমান্ত থেকে সরে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করা হবে।
সম্প্রতি জাতিসংঘে ইরানের মিশন জানায়, ইসরায়েল লেবাননে ‘পূর্ণমাত্রার সামরিক আগ্রাসন’ শুরু করলে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার এক যুদ্ধ’ হবে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সব প্রতিরোধ ফ্রন্টের জড়িয়ে পড়ার মতো অপশন বিবেচনাধীন আছে। ইরানের এমন মন্তব্যের পরই প্রতিক্রিয়া দেখান ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা নিহত হন। এর জবাবে ১৪ এপ্রিল ইসরায়েলে কয়েকশ’ মিসাইল হামলা চালায় ইরান। সেই হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় জর্ডান। তবে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের সম্ভাবনা ইরানকে টেনে নিতে পারে।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে