ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে সড়কে নেমেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চাকরিপ্রত্যাশীরা। চারদিন ধরে তারা অবস্থান, বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। এবার সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংক্রান্ত ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এছাড়া শুক্রবার অনলাইন-অফলাইনে বৈঠক এবং পরের দিন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালে সংক্রান্ত আদালতের রায়ের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সংগঠনটি।

লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবারও শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনব্যানারে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলনে অংশ নেন।

 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরসমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বলেন, পহেলা জুলাই থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ছিল আমাদের । কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাহী বিভাগ বা সরকারের উচ্চ পযায় থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ  এমনকি কোনোরকম আশ্বস্ত করা হয়নি। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং আমরা রাজপথে  থাকব।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার চার দফার ভিত্তিতে সারা দেশেই সমন্বিতভাবে  অনলাইন অফলাইনে  জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে।  শনিবার সব বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিকাল টায় বিক্ষোভ মিছিল বের হবে। পরের দিন রোববার সব কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের মতো ধর্মঘট পালন হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার শাহবাগ মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সেখানে পুলিশ শক্ত অবস্থান নেয়। অবরোধের প্রভাবে যানজটের সৃষ্টি হয়। তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ওদিকে রাজধানীর আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন  শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সময়ে মিরপুর-ফার্মগেট এবং মহাখালী-শিশুমেলা সড়কে  দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। দুই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  রেলপথ অবরোধ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  দুই ঘণ্টা পরে তারা সেখান থেকে চলে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। হাটহাজারী-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বই পুড়িয়ে কোটা প্রথার প্রতিবাদ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে   সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করেন।  আন্দোলন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর