অর্থপাচার, দুর্নীতি ও ঋণখেলাপি সরকারের জন্য হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ জুলাই ২০২৪

চলতি অর্থবছরের বাজেটে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তেমন দিকনির্দেশনা দেখা যায়নি। বড় বড় ঋণখেলাপির ঋণের সুদ মাফ করা করা খুবই আপত্তিকর। অর্থপাচার, দুর্নীতি ঋণখেলাপি রোধ করা না গেলে সেটা সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানী ঢাকার তেজগাঁয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে ছায়া সংসদ বসে। সেখানে বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর . মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এবারের বাজেট টেকসই উন্নয়নে সহায়ক হবেশীর্ষক এ ছায়া সংসদে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ফরাস উদ্দিন জানান, এবারের বাজেটে বিদেশ থেকে ৯৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এটা দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর অস্ত্র হতে পারে। ব্যাংক থেকে অধিক পরিমাণে ঋণ নিলে বিনিয়োগকারীরা ঋণ পাবে না, বিনিয়োগ আরও স্থবির হয়ে যাবে।

বাজেট বক্তব্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে শতাংশে নামিয়ে আনার কথা হবে বললেও সেটা  অর্জিত হবে না বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি শতাংশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে সেটা ১০ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানান তিনি।

ফরাস উদ্দিন বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোর সুদ মওকুফ করা ৫০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য করা উচিত। দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ায় সরকারকে জোর দেওয়া উচিত। সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ নিলে একদিকে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে, অন্যদিকে সামাজিক নিরাপত্তা খাত শক্তিশালী হবে।

ইতিহাস তুলে ধরে সাবেক গভর্নর জানান, মধ্যস্বত্বভোগীরা মজুত সরবরাহের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় ১৯৭৪ সালে খাদ্যাভাবে বহু লোকের মৃত্যু হয়। তাই মজুত সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর