ফের কমলো রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ জুলাই ২০২৪

দীর্ঘদিন ধরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে অবস্থান করছিল। এ অবস্থায় গেল জুনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) কয়েকটি দাতা সংস্থা থেকে ঋণ পাওয়ার পর বেড়েছিল রিজার্ভের পরিমাণ। কিন্তু এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর দেশের রিজার্ভ ফের কমে গেছে।

বর্তমানে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৭ বিলিয়নে। আর আইএমএফ হিসাব পদ্ধতিতে (বিপিএম-) এখন রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। বিলটি পরিশোধের পর দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ১৩২ কোটি ডলার রিজার্ভ কমেছে।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গেল জুনে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন।  বিপিএম- হিসাবে তখন রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বুধবার (১০ জুলাই) আকুর বিল দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

গত জুনে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তিসহ প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এতে ২৭ জুন দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচলিত হিসাবে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, এটা আগে ছিল যথাক্রমে ১৯ দশমিক ৪৭ ২৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে গত জুলাই প্রথমবার নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৩০ জুন শেষে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে আকুর বিল পরিশোধ করায় প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। ফলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়নের ঘরে নেমে এসেছে। সাধারণত যে কোনো দেশে তিন মাসের আমদানির খরচের সমপরিমাণ রিজার্ভ  থাকতে হয়।  প্রতি মাসে সাড়ে বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ ধরলে রিজার্ভ দিয়ে দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে না।

 

আকু হচ্ছে একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেনের দায় নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ব্যবস্থায় আকুর আওতাভুক্ত দেশগুলোকে প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করতে হয়।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর