অনেকদিন ধরেই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। সহনীয় পর্যায়ে আসছে না নিত্যপণ্যের দাম। নতুন করে বেড়েছে বাঙালির প্রধান খাদ্য চালের দাম। ওদিকে সব ধরনের সবজির দামও বেড়েছে। এ অবস্থায় সীমিত আয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। বেকায়দায় আটকে পড়া সাধারণ মানুষ যেন কোন দিক খুঁজে পাচ্ছেন না।
বাজার তথ্য বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চাল কিনতে ৪ থেকে ৫ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে ভোক্তদের। ভোক্তাদের মধ্যে অনেকেরই ভাষ্য, সবজির সঙ্গে চালের দাম বৃদ্ধি তাদের কাছে এখন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামে প্রতি বস্তা চালে ২০০ টাকা বেড়েছে। এর সঙ্গে আছে পরিবহন খরচ। কিছুটা লাভ করতেই হবে। খরচসহ বাড়তি দামে কেনায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দাম।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। বিভিন্ন ধরণের চালের মধ্যে মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৭০-৭৫, পাইজাম ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এসব চাল কেজিতে ৪-৫ টাকা কম দামে পাওয়া যেতো।
এদিকে গত সপ্তাহ থেকে সবজির বাজারে অস্থিতিশীলতা শুরু হয়। সেটা তো বর্তমানে কাটেইনি বরং সব ধরনের সবজির দাম আরও বেড়েছে। বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে আমদানি কমে যাওয়ায় সবজির দাম বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
রাজধানী ঢাকার বাজারের তথ্য বলছে, শুক্রবার কোনো সবজির কেজিই ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হয়নি। প্রতি কেজি বরবটি ১০০-১২০ টাকা, করলা ১২০-১৪০, কচুরমুখি ১২০-১৬০ টাকা, কাকরোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও বেগুন ৮০-১০০ টাকা, পটল ও পেঁপে ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সবজি হিসেবে বেশি ব্যবহৃত আলু বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। এছাড়া কয়েক সপ্তাহ থেকে দাম বাড়তে থাকা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ওদিকে বাজারে গরীবের মাংস হিসেবে পরিচিত ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছে বাজারভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে