শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় জান্নাতুল ফেরদৌসী সুমাইয়া (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে ৭ পৃষ্ঠার চিরকুট লিখে ওড়নায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
আত্মত্যার আগে চিরকুটে নিজের বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে সুমাইয়া লিখে গেছেন, তোমরা মনে কষ্ট নিও না। শিপনকে সুখে রাখার জন্য আমি চলে যাচ্ছি। আমার মুখ তাকে দেখতে দিও না। আমার শরীরটা কাটতে দিও না। আমি তাহলে কষ্ট পাব।
জান্নাতুল ফেরদৌসী সুমাইয়া নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বিশগিরি পাড়া গ্রামের আবুবকর সিদ্দিকের কন্যা। ৮ মাস আগে শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারী এলাকার শিপন নামের এক যুবককের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার (১৩ জুলাই) রাত দশটার দিকে বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি।
চিরকুটে আক্ষেপ করে সুমাইয়া লিখেন, বিয়ের গোসল টাও পেলাম না। শেষ গোসল টাও পাব না। জানাযাও পাব না। আমার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। অনেক ভালোবাসি তোমাকে শিপন। কিন্তু তুমি শেষ পর্যন্ত তোমার সঙ্গে থাকতে দিলা না।
সুত্র জানায়, অভিভাবকের অসম্মতিতে বিয়ে করায় সুমাইকে মেনে নিচ্ছিল না তার স্বামীরে পরিবার। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো তাদের মধ্যে। গত রোজার ঈদের সময় সুমাইয়া তার বাবার বাড়িতে চলে এসে সেখানেই থাকছিলেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুঁইয়া জানান, সুমাইয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার চিরকুট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে ওসি জানান।
বিডি২৪অনলাইন/রাকিবুল আওয়াল পাপুল/সি/এমকে