পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ঠিকাদারি কাজ করছেন সরকারি দুই কর্মচারী। এ সংক্রান্ত একটি খবর নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ ২৪ অনলাইন ডট কম-এ প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বী ঘটনাটির তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে। তদন্ত শেষে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, আমার অধিনস্থ কর্মচারি, তার বিপক্ষে কিভাবে রিপোর্ট দেই।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন- তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কার্য সহকারি জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসের জারিকারক জিয়াউর রহমান। জানা গেছে, এ ঘটনায় তাদের কোনো দোষ খঁজে পায়নি তদন্ত কর্মকর্তা।
জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে তেঁতুলিয়া উপজেলায় অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৯টি ঘর নির্মাণের জন্য ৫টি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করা হয়। এর মধ্যে ২ টি প্যাকেজের কার্যাদেশ পায় জেলার বোদার সিদ্দিকুর রহমানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাকি ৩টির মধ্যে একটি করে পায় বোদার সুরমা ট্রেডার্স, রাদোয়া রুফাইদা ট্রেডার্স ও গোলাম ফারুক। প্রতি ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় গেলে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ, ইউসুফ আলী, আব্বাস আলী, তবিবর রহমান, সামশুল হক, আইনুল হক, ইউসুফ আলী, সহিদুলসহ অন্তত ১৫টি বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা, তার পরিবারের সদস্য ও নির্মাণ কাজের মিস্ত্রিরা জানিয়েছেন- এ কাজ করছেন জহিরুল ও জিয়াউর ঠিকাদার। আর কেউ আসেনি এখানে। তারাই আসেন কাজ দেখতে।
রাদোয়া রুফাইদা ট্রেডার্সের প্রোপাইটর আসাদুজ্জামান রাজিব জানান, কাজের এলাকা অনেক দুর হ্ছে। এ জন্য জহিরুলসহ আরেকজনের নাম জানি না, তাদেরকে দেওয়া হয়েছে কাজটি। বিল করার জন্য একদিন এসে স্বাক্ষর করে নিয়ে গেছে তারা। ঠিকাদার সিদ্দিকুর রহমান জানান, একদিন স্বাক্ষর করে নিয়েছে। কাজগুলো জিয়া করছে।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসেন/সি/এমকে