নদী ভাঙন আতঙ্কে হাজারো পরিবার, বিলীনের পথে সড়ক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১৫ জুলাই ২০২৪

সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মালদা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।  এতে ওই এলাকার হাজারো পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। একই সঙ্গে বলাইরহাট-লোহাকুচীর একমাত্র সংযোগ সড়কটিও বিলীনের পথে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, নদী ভাঙনে এরই মধ্যে উপজেলার মালগাড়া, বগুড়াপাড়া এলাকার ১০ টি বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বলাইরহাট-লোহাকুচীর একমাত্র সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে জেলা, উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে চন্দ্রপুর, গোড়ল, মদাতি ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষকে। দায়িত্ব পালনে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বিজিবি সদস্যদেরও। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে একাধিক মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ভাঙন রোধে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা পরিদর্শনেই সীমাবদ্ধ থাকছেন। পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও এগিয়ে আসেনি কেউ।

মালদা ভাঙনের শিকার গোড়ল ইউনিয়নের বগুড়াপাড়ার বাসিন্দা ইসমাল হোসেন বলেন, ৩২ শতাংশ জমিতে বাড়ি ছিলো আমরা। গত কয়েক বছরের ভাঙনে বাড়ি  ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে রাস্তায় রয়েছি। সে রাস্তাটিও এখন ভাঙনের মুখে। একই এলাকার বাসিন্দা মোক্তার হোসেন বলেন, এবারের বন্যায় বলাইরহাট থেকে লোহাকুচী হয়ে লালমনিরহাট জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফাটল দেখা দিয়েছে বগুড়াপাড়ার ব্রীজটিতেও। আর গত দিনে ১০ বাড়ি সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। পথচারী তহিদুল ইসলাম(৩০) বলেন, মালদা নদী ঘেঁষে থাকা সড়কটি দিয়ে দীর্ঘদিন যাতায়াত করছি। ভাঙনের কারণে এখন আর যাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।

গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, কয়েক বছর আগে ভাঙন শুরু হলেও এবার তীব্র আকারে ভাঙছে মালদা। গত বছরেও বলাইরহাট-লোহাকুচী সড়কটি নদী থেকে ৫০০ গজ দূরে ছিলো। এবারের ভাঙনে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হুমকিতে পড়েছে ব্রীজসহ ১০ হাজার বাড়িঘর। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা পরিদর্শন করেছে। আশা করি দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, মালদার ভাঙন প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে। দ্রুতই ভাঙন রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, মালদার ভাঙনের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

 

বিডি২৪অনলাইন/লাজু মিয়া/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর