সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রাজধানীতে অন্তত ৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঢাকার সাভার এবং মাদারীপুরে একজন করে নিহত হয়েছেন। এর বাইরে আহত হয়েছেন কয়েকশ’ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকার মধ্যে উত্তরা, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, রামপুরায় সংঘর্ষ হয়েছে। এর বাইরেও কিছু এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে গোটা এলাকা যেন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। জবাবে লাঠিসোটা হাতে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
উত্তরায় নিহতদের মধ্যে চারজনের লাশ কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী। অন্য দুজনের সম্পর্কে জানা যায়নি। উত্তরায় সংঘর্ষে গুলিতে শাকিল পারভেজ ও মাহমুদুল হাসান নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রাজধানীর বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ড্রাইভার দুলাল মাতবর মারা নিহত হয়েছেন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে নিহত হয়েছেন এক রিকশাচালক। সংঘর্ষে আহত হয়ে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ রাজধানীর সিটি হাসপাতালে মারা গেছেন। সাভারে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইয়ামিন (২৪) নামে একজন নিহত হয়েছেন। মাদারীপুরে পুলিশের ধাওয়ায় শকুনি লেকে পড়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী দিপ্ত দের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের হিসাবে, যাত্রাবাড়ী, নিউমার্কেট, উত্তরা ও রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটের আঘাতে আহত অন্তত ৯০ জন এ হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে