রপ্তানিতে ছন্দপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ জুলাই ২০২৪

দেশে  ১১ মাসে ৫ দশমিক শতাংশ কমেছে রপ্তানি আয়। গত অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে আয় হয়েছে ৩৩ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে এ কথা। যদিও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে এ সময়ে  রপ্তানি আয়ে দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

পোশাক শিল্পের আয় কমে যাওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে বলে  জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। এর মধ্যে জ্বালানি, বিদ্যুৎ গ্যাসের দামের পাশাপাশি মজুরি  বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ বাড়লেও সে তুলনায় পোশাকের ইউনিটের দাম কমে যাওয়া, বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কার্যাদেশের কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা উল্লেখযোগ্য।

ইপিবির হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগের অর্থবছরে সময়ে আয়ের পরিমাণ ছিল ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী,  গত অর্থবছরের ১১ মাসে ৩৩ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে আয় ছিল ৩৪ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে নিট পোশাকের রপ্তানি আয় দশমিক শতাংশ কমেছে।  দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে। এটা আগের বছরে ছিল ১৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, ওভেন পণ্যের আয় কমেছে দশমিক শতাংশ। এ ক্ষেত্রে আয় হয়েছে ১৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। এ আয় আগের বছরে ছিল ১৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের তরফ থেকে পণ্যের মূল্য বাড়ানো হয়নি, উল্টো কমানো হয়েছে। ফলে রপ্তানিকারকরা পোশাক পণ্যের ক্রয় আদেশ নিতে পারেননি। প্রতিযোগীদের সঙ্গে মূল্য সক্ষমতায় টিকে থাকতে পারছেন না তারা। তাছাড়া ব্যাংকের  পাশাপাশি কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তাদের কাছে থেকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার ঘাটতি থাকায় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা বলছেন রপ্তানিকারকরা। অন্যথায়  আগামীতেও নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর