সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষে প্রাণহানি এবং ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে ঢাকায় থাকা পশ্চিমা ১৪ দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজতে ও নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা এড়ানোর তাগিদ দিয়েছে তারা।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দপ্তরে ১৪ দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশন থেকে যৌথভাবে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর এসেছে গণমাধ্যমে। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঢাকাস্থ ডেলিগেশন প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধির সই রয়েছে।
চিঠিতে সংকট সমাধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের জবাবদিহিতা, আটক ব্যক্তিদের বিচারে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং যত দ্রুত সম্ভব পুরোদমে ইন্টারনেট চালুর বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে মানবাধিকার সমুন্নত রাখারও উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিচারে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা জরুরি। এছাড়া প্রকৃত অপরাধীর বিচারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকারসহ সর্বজনীন মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে হবে।
আন্দোলনকে ঘিরে কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে বলা হয়েছে, নাগরিকজীবনে এসবের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে। দেশে-বিদেশে ব্যবসা বাণিজ্য বিঘ্ন ঘটছে। পাশাপাশি যোগাযোগে বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে দেশে ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অথচ চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল দৈনিক গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সারা দেশে সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। গত সপ্তাহে তিন দিন সব অফিস ও ব্যাংক বন্ধ ছিল। তাছাড়া ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেনও বন্ধ ছিল। লেনদেন কয়েক দিন বন্ধের পর ২৪ জুলাই ব্যাংক চালু হয়। ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় আসা সম্ভব ছিল না।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে