পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিভূষন রায় নানা ধরণের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন তার পরিষদের সদস্যরা (মেম্বার)। এ অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রোববার (২৮ জুলাই) জেলা প্রশাসকের কাছে যৌথভাবে নালিশ দিয়েছেন তারা।
এদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, অভিযোগ করেছে প্রমাণ করবেন তারা।
অভিযোগপত্রে সই করছেন ইউপি সদস্য নুর বানু, অনিতা রানী, গৌরিকান্ত রায় ও আব্দুল মজিদ। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায, কালীচরন গ্রামের গৌরীর বাড়ীর লক্ষী মন্দির ওয়াকফ বিহীন জমিতে সংস্কারের নামে বরাদ্দ দিয়ে নিজেই ৮৩ হাজার ৪২৬ টাকা উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান। এ রকম আরো অনেক ভুয়া প্রকল্পের নাম দিয়ে টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে চেয়ারম্যান তার সহোদর ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেখানে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ভুয়া ওয়ারিশন সার্টিফিকেট এবং বিভিন্ন ভাতার আবেদনের নামে নির্ধারিত ফি’র পরিবর্তে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। মাতৃত্বকালীন, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণে সুফলভোগীদের কাছে থেকে টাকা আদায় করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প চেয়ারম্যান তার ইচ্ছা মতো গ্রহণ করেন ও সেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া চেয়ারম্যান ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, কুরুচিপূর্ন কথাবার্তা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। চেয়ারম্যানের ছেলে দিপক কুমার রায় ওএসএম’র চালের ডিলার। চাল বিতরণেও করা হয় নানা অনিয়ম। ভুক্তভোগীদের কেউ প্রতিবাদ করলে তার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হয়।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে