সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সারা দেশে সহিংসতা হয়েছে। এতে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশা মিলে হতাহত হয়েছেন অনেক মানুষ। সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে ১৫০জন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর হিসাবে নিহতের সংখ্যা ২৩৬ জন।
এদিকে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দেশব্যাপী সরকারিভাবে একদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘শোক পালনের অংশ হিসেবে কালো ব্যাচ ধারণের পাশাপাশি মসজিদে দোয়া, মন্দির-গির্জা-প্যাগোড়ায় পার্থনা করা হবে।
সোমবার (২৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। সেখানে ১৫০ জন নিহতের তথ্যটি জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বৈঠকে শোক পালন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার পর্যন্ত ১৪৭ জন নিহতের কথা বলেছিলেন। আরো তিনজন যোগ হয়েছে, সবমিলিয়ে ১৫০ জন হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফ থেকে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। অন্যান্য মন্ত্রীরা তাদের তরফ থেকে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। সব তথ্য পর্যালোচনা করে দুটি সিদ্ধান্ত হয়। এর একটি আন্দোলনের ঘটনায় নিহতদের জন্য একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ। সেই প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে নেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয়টি মঙ্গলবার দেশব্যাপী শোক পালন করা হবে।
ওদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগে গেল শনিবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তাদের নতুন কর্মসচি ঘোষণাকালে জানিয়েছিল, এ আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ২৩৬ জন নিহতের তালিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৮ ভাগই শিক্ষার্থী। এ সংখ্যা হাজার ছাড়াবে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী আটক বা গ্রেপ্তার হয়েছে। বাসায় বাসায় গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়া হচ্ছে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে