সারা দেশে বুধবার (৩১ জুলাই) ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সারা দেশে ছাত্র-জনতা হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলার প্রতিবাদে ও জাতিসংঘের অধীনে ঘটনার তদন্ত করে বিচারের দাবিতে এবং ছাত্রসমাজের পূর্বঘোষিত ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’এর অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে দেশের শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও সব নাগরিককে তাদের কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও দাবি আদায়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়েছে। আর সরকারকে ৯ দফা দাবি মেনে নিয়ে দেশকে স্থিতিশীল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। গণমাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করার খবর এসেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৬ হাজার ৭০১ জন। এদের অনেকেই চিরতরে অন্ধ এবং অনেকে পঙ্গু হয়ে গেছেন। আন্দোলন দমনের জন্য সাধারণ ছাত্র ও আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সংবিধানবিরোধী ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করে গণগ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ১২ দিনে ১০ হাজারেরও বেশি নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতের আঁধারে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজা হচ্ছে কোনো শিক্ষার্থী আছে কি না। এ ছাড়া মামলায় জড়ানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় হাইকোর্ট ও জজকোর্ট প্রাঙ্গণে জমায়েত হবেন আন্দোলনকারীরা। অন্যরা নিজেদের ক্যাম্পাস এবং রাজপথে সুবিধামতো স্থান ও সময়ে কর্মসূচি পালন করবেন।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে