চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ অগাস্ট ২০২৪

রাশিয়া-ইউক্রেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল আগ্রাসন কিংবা উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য- সবকিছু মিলিয়ে মন্দার মধ্যেই শেষ হয়েছে গত অর্থবছর। মন্দার প্রভাব বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিতে ছিল বেশি। ব্যবসা-বাণিজ্যের শ্লথ গতির প্রভাব পড়েছে দেশের রাজস্ব আহরণে। এর প্রমাণ হচ্ছে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ঘাটতি। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা জরুরি অবস্থার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে, গত এক সপ্তাহে অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। অর্থনীতির ক্ষতির পাশাপাশি রাজস্ব আহরণেও সরাসরি এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। ফলে চলতি অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে  বলে মনে করছেন তারা।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গেল অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ হাজার ৪৩৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বকেয়া রাজস্ব আহরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগে লক্ষ্যমাত্রার ৯৩.৩১ শতাংশ আদায় হলেও বড় ঘাটতি এড়াতে পারিনি প্রতিষ্ঠানটি। সংশোধিত লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে লাখ ৮২ হাজার ৫৬২ কোটি লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে ধরা হয়েছে লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা। আগের অর্থবছরের যেখানে লক্ষ্যমাত্রা আদায়ে বড় ঘাটতি রয়ে গেছে, সেখানে কোটা আন্দোলনের প্রভাবে অর্থনীতির বড় ধরনের অস্থিরতা কাটিয়ে এবারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাটা এখন এনবিআরের  জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতি বোদ্ধারা।

এনবিআর আয়কর কাস্টমস বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশ স্থবির অস্থিতিশীল পর্যায়ে থাকলে রাজস্ব আদায়ের সুযোগ কমে যায়। দেশ স্থিতিশীল স্বাভাবিক অবস্থায় না ফিরলে যে কোনো কৌশল কিংবা এনফোর্সমেন্ট উদ্যোগ কাজে আসে না। মুহূর্তে সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলেও পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে আরও বেশ কয়েক মাস।  অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রত্যাশার তুলনায়  ৪০-৬০ শতাংশ কমবে রাজস্ব আদায়। বর্তমানে ধৈর্য   সীমিত পরিসরে যতটুকু করা যায়, আপাতত এটাই করণীয়।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর