উত্তাল দেশ, রাজপথে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নামছেন পেশাজীবীরা

Super Admin
০৮ মার্চ ২০২৪

ছাত্র আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। এবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাঠে নামছেন বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে এবার সরকার পদত্যাগের দাবিও এসেছে সামনে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আন্দোলন শুরু হয়। তৃতীয় সপ্তাহে এসে সেই আন্দোলনে সহিংসতা যুক্ত হয়। সরকারি হিসেবে দেড়শ’ আর বেসরকারি হিসেবে কয়েকশ প্রাণহানি ঘটে, আহত হয় বহু মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজিবির মোতায়েন করা হয়, জারি করা কারফিউ। সহিংসতার ঘটনায় মামলা হয় শিক্ষার্থীদের নামেও। এ অবস্থায় নতুন ৯ দফা দাবি সম্বলিত কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন- প্লাটফর্মে দাড়িয়েই আন্দোলন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টির মধ্যেও শুক্রবার (৩ আগস্ট) আন্দোলন হয়েছে দেশে, সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে নেমে আসেন শিক্ষক, অভিভাবক, শিল্পী, পরিকল্পনাবিদ, পেশাজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, মানবাধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। বৃষ্টি মাথা নিয়েই গণমিছিলসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। এদিকে আন্দোলন চলাকালে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে খুলনায় পুলিশ সদস্য ও হবিগঞ্জে একজন নিহত হয়েছন। সারা দেশে অর্ধশত শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সাধারণ নাগরিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছাত্র-জনতার গণমিছিলের পাশাপাশি ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের ডাকা ‘দ্রোহযাত্রায়’ যোগ দেন কয়েক হাজার মানুষ। সেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়, শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শত শত শিল্পী ও সাধারণ মানুষ ধানমন্ডির আবাহনী মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে শামিল হন। বাংলামটরে মানববন্ধন করেছেন পরিকল্পনাবিদরা। সেখানে বিক্ষুব্ধ ‘কবি-লেখক সমাজ’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী উদীচী। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা বিক্ষোভ করেছেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও প্রেস ক্লাবে গণমিছিল করেছেন মুসল্লিরা। আন্দোলন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে ঢাকা। ঢাকার বাইরে চট্রগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেটসহ প্রায় বিভিন্ন জেলায় আন্দোলনের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষার্থীরা। আর রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের সর্বাত্বক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা, হত্যার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অন্যদিকে, রোববারের (৪ আগস্টের) মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারদের মুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ও শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে সরকারকে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। এসব দাবি না মানলে রোববার বিকালে গণমিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্রোহযাত্রায় ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। বিডি ২৪/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর