সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানায় সন্ত্রাসী হামলায় ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। হামলার পরে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তরের এক বার্তায় হামলা ও নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের বার্তায় আরও জানানো হয়েছে, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্য সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সারাদেশে সর্বাত্বক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ ও বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এখন আন্দোলন হচ্ছে দেশে।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অপারেশনস অ্যান্ড ক্রাইম) বিজয় বসাক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হামলার পর সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরাও তাদের সঙ্গে রয়েছেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, থানায় ১১টি লাশ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আটটি লাশ মসজিদের পাশে স্তূপ করা অবস্থায় ও বাকি তিনটি লাশ পাওয়া গেছে পুকুরে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এখনো নিখোঁজ বলেও জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানিয়েছেন, হাজারখানেক মানুষ দলবেঁধে থানার দিকে এসে কিছুক্ষণ অবস্থানের পরে চলে যায়। পরে কয়েকশ মানুষ থানায় হামলা চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ১১–১২ জন পুলিশ সদস্যের লাশ পাওয়া গেছে, তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে