নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে আরও কারা থাকবেন, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে প্রধান করে ১০-১৫ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের জন্য। ড. ইউনূস ছাড়া সেই তালিকায় থাকা বাকিদের নাম এখনো প্রকাশ হয়নি।
তবে বিভিন্ন সূত্রে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন- ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, ড. শাহ্দীন মালিক, ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, মো. তৌহিদ হোসেন, শহীদুল্লাহ খান বাদল, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বতীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়কের বৈঠক হয়। সেখানেই ড. ইউনুসকে প্রধান করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, বৈঠকে সমন্বয়কদের তালিকার সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আরও একজন মুক্তিযোদ্ধাসহ দুজনকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে একজন সংখ্যালঘু ও একজন আদিবাসীও যুক্ত হতে পারেন।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেন। পরে রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এ অবস্থায় অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে