সাতক্ষীরার তালা উপজেলা দেড় থেকে দুই শতাধিক বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটকরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এর মধ্যে চেয়ারম্যান, সেনা কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিকের বাড়িও আছে। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে এসব ঘটনা ঘটেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গ্রামে-গ্রামে বিএনপি ও জামায়তের লোকজন পাহারা বসালেও বন্ধ হচ্ছে না লুটপাট। প্রশাসনের নিস্ক্রিয় ভুমিকায় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন সাধারন মানুষ।
হাজারাপাড়া এলাকার সেনা কর্মকর্তা শিবাজী লাহেড়ী জানান, তিনি চট্রগ্রামে চাকরি করেন। মঙ্গলবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত তার বাড়িতে এসে জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা বাড়ির ভেতরে মন্দির ভাংচুর করে ও রান্না ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যায়।
পাটকেলঘাটা বাজারে ব্যাবসায়ী ফয়সাল হোসেন শুভ জানান, তার চাচা জেলা আওয়ামী লীগের গুরত্বপূর্ন পদে আছেন। সোমবার রাতে তাদের বাড়িতে হামলা করা হয়। পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালানো হয়। সেখানকার মালামাল লুটপাট করা হয়।
মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথ জানান, মঙ্গবার রাত ১০ টার দিকে তার বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। স্কুল শিক্ষক বিশ্বজিত লাহিড়ী জানান, মঙ্গলবার ৭/৮ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে বেধড়ক মারপিট করে। তারা ৭০ হাজার টাকা ও ৫ ভরি স্বর্নালঙ্কার নিয়ে গেছে।
খলিষখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর দাশ জানান, মঙ্গলবার রাতে খলিষখালী বাজারের সজলের মুদি দোকানে লুটপাট করা হয়েছে। এ রাতে তার নিজের বাড়িসহ একই এলাকার কৃষকলীগ নেতা বিধান দাশ, আ.লীগ নেতা বিশ্বনাথ দাশ, নীল কোমল দাস,সজ্ঞয় দাস, বিল্লু দাসসহ অনেকে বাড়িতে লুটপাট করা হয়েছে।
তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রনব ঘোষ বাবলু জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার বাড়িতে লুটপাট করা হয়েছে। এসময় তার বৃদ্ধ মাকে মারপিট করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা মেজর ইশতিয়াকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি।
বিডি২৪অনলাইন/কিশোর কুমার/সি/এমকে