শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। ১৭ সদদ্যের এ সরকারের নেতৃত্বে থাকছেন নোবলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাত নয়টার পরে তাঁরা সবাই শপথ নিয়েছেন। নবীন-প্রবীণ উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এ সরকার।

অন্তর্বতীকালীন সরকারের ১৭ জনের প্রোফাইল বলছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সামাজিক উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রবর্তনের জন্য তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি অর্ধশতাধিকেরও বেশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর ছিলেন। তিনি ২০০৫ সালের ১ মে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ পদে আসীন ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত  নির্বাচন কমিশনের কমিশনার ছিলেন। একজন  বুদ্ধিজীবী ও লেখকও তিনি। ২০টিরও অধিক বই লিখেছেন তিনি।

আসিফ নজরুল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। তিনি একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট।

হাসান আরিফ ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি, এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি  সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল।

মো. তৌহিদ হোসেন একজন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ছিলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান একজন  বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী। তিনি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা এনজিও বেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।  তিনি তার কাজের স্বীকৃতিসরূপ বেশকিছু খেতাব ও পুরস্কার অর্জন করেছেন।

অধিকার ভিত্তিক সংগঠন ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন শারমিন মুরশিদ। ২০০১ সাল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি বিশেষ করে আদিবাসী জনগনের অধিকার আদায়ে কাজ করে আসছে তার সংস্থা।

একজন নৌকমান্ডো হলেন ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)।  মহান মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য গঠিত  দলের উপ-অধিনায়ক ছিলেন ।

আদিলুর রহমান খানের পরিচয় মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

সুপ্রদীপ চাকমা বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তব্যরত রয়েছেন।  তিনি বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত  একজন কর্মকর্তা। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি।

ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী। বিধান রঞ্জন রায় পেশায় একজন মনোচিকিৎসক। তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও হাসপাতালে মনোচিকিৎসা বিভাগের পরিচালক ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

আ ফ ম খালিদ হোসেন একজন দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত। বিশ্ব মুসলীম লীগের মুখপাত্র দ্যা ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগ জার্নালসহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার দুই শতাধিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।  তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা।

নূরজাহান বেগম  ২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম-কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব। আসিফ মাহমুদ তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। একই সঙ্গে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির আহবায়ক।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে